ডেস্ক নিউজ : বুধবার বিকালে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চতুর্থ তলায় নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের (আইসিইউ) সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় এক পুলিশ সদস্য ও দুই আনসার সদস্য আহত হয়েছেন।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি এবং ৬০ জন আনসার সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, মিরপুর ১৪ পুলিশ লাইনের কনস্টেবল মো. রুবেল অসুস্থ হয়ে ঢামেকে ভর্তি হন। সকালে রুবেলের অস্ত্রোপচার হয়েছে। অস্ত্রোপাচার শেষে তাকে জরুরি বিভাগের চতুর্থতলায় পোস্ট অপারেটিভ কেয়ারে রাখা হয়।
এ সময় মিরপুর ১৪ পুলিশ লাইনের কনস্টেবল মাহাবুবুল আলমকে দায়িত্বরত নার্স ওষুধ আনতে বলেন। তিনি ফার্মেসি থেকে ওষুধ নিয়ে আসার পর ভেতরে যেতে চাইলে দায়িত্বরত আনসার সদস্য সাইফুল তাকে বাধা দেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় হাতাহাতি হয়। বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন পুলিশ কনস্টেবল ও আনসার সদস্য। এতে দু’জনই আঘাত পেয়েছেন।
পরবর্তীতে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. বিদ্যুৎ কান্তি পালকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং আনসারের ৬০ সদস্যকে প্রত্যাহার হয়।
তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- পুলিশের রমনা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. ইকবাল হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) এইচ এম আজিমুল হক, আনসারের ঢাকা রেঞ্জের উপ-পরিচালক কামরুল ইসলাম, সহকারী জেলা কমান্ড্যান্ট তামিমা সুলতানা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিদ্যুৎ কান্তি পাল জানান, ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
ঢামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসিরউদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল। এটি আরো বড় আকারে রূপ নিচ্ছিল। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে আমাদের কাছে সংবাদ এলে আমরা পুলিশ ও আনসারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে আলোচনায় বসি। সেখানে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন ও সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।